সৈয়দপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের আর্থনাদ ও রাস্তা সংস্কারের দাবি সাধারণ মানুষের
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 11:00 PM
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 11:00 PM
সৈয়দপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের আর্থনাদ ও রাস্তা সংস্কারের দাবি সাধারণ মানুষের
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় বন্যার পানিতে ঘর বাড়ি মসজিদ ও রাস্তা ঘাটের বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সৈয়দপুর পশ্চিমপাড়া নদীর পাড় থেকে ৫নং ওয়ার্ডের সাহেব নগর পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক যেন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। যানবাহন চলাচলের নেই কোন রাস্তা যা জনজীবনে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের।
গত ১৭ জুন পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবল স্রোতের ফলে সুনামগঞ্জের সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের বেড়ীবাঁধটি পানিতে তলিয়ে নিমিষেই হারিয়ে যায় ১৪টি বসতবাড়ি ও একটি মসজিদ। ১৪টি বসতবাড়ি ও ১টি মসজিদ চোখের পলকে বিলীন হয়েছে। সাধারণ মানুষ তাদের জীবন বাচাতে খালি হাতে ঘর থেকে বেড়িয়ে পড়ে। নিজের চোখের সামনে ভেসে যেতে দেখেন তাদের সপ্ন। গৃহপালিত পশু গরু,ছাগল ঘরের মধ্যে থাকা ধান চাল ও নগদ অর্থ কিছুই রক্ষা করতে পারেনি অসহায় পরিবার গুলো। প্রবল চেষ্টা ও জীবনের সাথে পাঙ্গা নিয়ে বাচ্চাদের ও নিজেদেরকে বাচাতে সক্ষম হয়েছে। এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে রক্ষা পেয়ে সব সম্মল হারিয়ে অন্যের বাড়িতে ও সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
এ ছাড়া সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের সঙ্গে অন্য ইউনিয়নের জনগণের যোগাযোগের একমাত্র এই সড়কটির উল্লিখিত অংশে রয়েছে অসংখ্য ছোট বড় খানাখন্দ। রাস্তা ভেঙ্গে জলাশয়ে পরিনত হয়ে যাওয়ায় রাস্তাটি চলাচলের অনোপযোগী হয়েছে। সুরমা নদীতে পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানি প্রবল স্রোতে প্লাবিত হয় প্রতি বছর। এই পাহাড়ি ঢলের প্রবল স্রোত থেকে নদীর পাড়ে থাকা গ্রাম গুলোকে রক্ষা করতে প্রতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে বেড়িবাঁধ দেওয়া হয়। গত বছর আশেপাশের বাঁধে মাটি ফেলে উঁচু বাঁধ নির্মাণ করলেও নির্মাণ করা হয়নি এই জায়গার। এই জায়গায় কোন মাটি ফেলা বা কোন সংস্কার করা হয়নি। ১৭ জুন বন্যার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সৈয়দপুর পশ্চিম পাড়ায় বেড়িবাঁধ না থাকায় ও নিচু বেড়িবাঁধ থাকায় রাস্তা ভেঙ্গে আরেকটি নদীতে পরিনত হয়েগেছে। সকল প্রকার যানবাহন, মোটরসাইকেল,অটোরিকশা চলাচলে এক প্রকার মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ। নদীর পাড়ে দাঁড়িয়ে দেখলে মনে হবে এই জায়গায় কোন দিন রাস্তাঘাট ছিলনা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পরিপাটি ও আধুনিকমানের এই মসজিদ অতি যত্নসহকারে নির্মাণ করা হয়েছিল। এলাকার এই মসজিদের দ্রুত উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়রা জানান , চলতি বছরের ১৭ জুন ভোর রাতে চলতি নদীর পানি উপচে উঠে নদীর তীরের বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করতে থাকে। এ সময় আশপাশের ঘরবাড়ি গাছপালা ভেঙে যায় বানের জলে। একই সাথে মসজিদে পাকা বাউন্ডারি ভেঙে পুরো মসজিদ দেবে যায় এবং উপরিভাগে মূলভবনের পাকা দেয়াল , দরজা , জানালা , থাই কাঁচ ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। মসজিদের পাকা অজুখানা ও বাথরুমে কোনো চিহ্ন নেই। ইমাম মুয়াজ্জিনের থাকার ঘরও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় ।