সরকারী কবরস্থানের ভূমি উদ্ধারে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
১৩ ডিসেম্বর, ২০২১, 8:05 PM
১৩ ডিসেম্বর, ২০২১, 8:05 PM
সরকারী কবরস্থানের ভূমি উদ্ধারে এলাকাবাসীর মানববন্ধন
সদর উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের আমপাড়া বাজারের পাশে সরকারী গোপাট ও কবরস্থানের ভূমি উদ্ধারে এলাকাবাসীর মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে এলাকাবাসীর বাঁধার মূখে মাটি খনন কাজ অব্যাহত রেখেছে। এই ঘটনায় সরকারী কবরস্থান উদ্ধারের দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন করেছেন। ১৩ (ডিসেম্বর) সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় স্থানীয়রা জানান, সরকারী প্রায় ১৪০ শতাংশ ভূমির পুর্ব পাশে পাহাড়ি ঢলের পানি নিষ্কাশন হয়ে খালে পরিণত হয়েছিল। আবার কয়েক বছর আগে এই খাল ভরাট হয়ে যায়। প্রায় ৮০ বছর আগে থেকে সরকারী ১৪০শতাংশ ভূমিতে আমপারা, ঘাসীগাঁও, নৈদারখামার ও রাজানগর গ্রামের মানুষ গনকবরস্থান হিসাবে ব্যবহার করে আসছেন। কবরস্থানের উপর পুকুরের ন্যায় গর্ত করে মাটি উত্তোলন করেছেন ঐ চক্রটি। এতে এলাকাবাসী বাধা দেন।
স্থানীয় জাতীয় পার্টি নেতা মাইন উদ্দিন জানান, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ফেটারগাঁও মৌজার জেএল নং-১, ডিপি নম্বর ২০১৪, খতিয়ান নম্বর ৩২৫৫, দাগ ১৫৩৯, ১৫৪০, ১৫৪১, ১৫৪৪, ১৫৪৩ নম্বরে সরকারী ভূমি রয়েছে প্রায় ৫ কেয়ার। এই ভূমি খনন করে ব্যক্তিগত কাজে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ভূমি উদ্ধার করা জরুরী। না হলে ৪টি গ্রামের মৃত ব্যক্তিদের লাশ দাফন করার মত জায়গা থাকবে না।
নির্মানাধীন বসতঘরের মালিক মো. ডালিম মিয়া বলেন, আমার রেকডীয় পৈত্তিক ভূমিতে বসতঘর নির্মাণ করছি। আমার রেকডীয় ভূমির পার্শ্বে কোন সরকারী ভূমি নেই। যদি আমার রেকডীয় ভূমির ভেতরে সরকারি ভূমি থাকে সরকারের প্রয়োজনে আমি স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেব।
সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক আব্দুর রহীম, ব্যবসায়ী কাশেম আলী, আহমদ হোসেন, মনির হোসেন, নাসের মিয়া, নুরুল গণি, আব্দুল খালেক, নবী হোসেন, ফিরোজ মিয়া, আলমাছ মিয়া, বুরহান উদ্দিন, নুরুল গণি।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া সুলতানা বলেন, যদি সরকারী খতিয়ানের জায়গা হয়, তবে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।