ঢাকা ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
বসুন্ধরা ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে প্রশিক্ষণ, সনদ পেলেন ৪০ জন বড়দিনের আনন্দে সম্প্রীতির জয়গান বড়দিনের আনন্দে সম্প্রীতির জয়গান সিএফমোটো বাংলাদেশে অফিসিয়ালি লঞ্চ করল তাদের ফ্ল্যাগশিপ ৩০০ সিসি’র স্পোর্টস বাইক সিএফমোটো বাংলাদেশে অফিসিয়ালি লঞ্চ করল তাদের ফ্ল্যাগশিপ ৩০০ সিসি’র স্পোর্টস বাইক সিএফমোটো বাংলাদেশে অফিসিয়ালি লঞ্চ করল তাদের ফ্ল্যাগশিপ ৩০০ সিসি’র স্পোর্টস বাইক ভাইব্রেন্ট এখন উত্তরায় ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং খাতে চ্যালেঞ্জ ও সমাধান – বাফা প্রেসিডেন্ট প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মালিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সকম গ্রুপের ৩০ হাজার কোটি টাকা একার দখলে নিয়েছেন সিমিন রহমান বিসিকে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা

রাজশাহীতে ৫ বছরে ঝরে পড়ছে ২৮ ভাগ শিক্ষার্থী

#

০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২,  5:04 PM

news image

পাঁচ বছরে রাজশাহীতে প্রায় ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ছে। পঞ্চম থেকে এসএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত আসতে এ পরিমান শিক্ষার্থী বিদ্যালয় ছেড়েছে। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার এ হার চিন্তার বিষয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষক ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন, করোনাকালে দেড় বছরের বেশি সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল। এর মধ্যে বাল্যবিবাহ ও শিশুশ্রমে যুক্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা আর বিদ্যালয়ে আসছে না।

রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ২০১৫ সালে ৪৬ হাজার ৩২৪ জন শিক্ষার্থী পিইসি (প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালে অষ্টম শ্রেণির জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যেই ৭ হাজার ৭ জন শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। পরীক্ষা দেয় ৩৯ হাজার ৩১৭ জন শিক্ষার্থী।

২০২১ সালে তারা এসএসসি পরীক্ষা দেয়। ওই সময় আরও ছয় হাজার শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। সব মিলিয়ে ৫ বছরে জেলায় ১৩ হাজার ৭ জন শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে, যা মোট শিক্ষার্থীর ২৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।


নগরের তালাইমারি এলাকার একটি স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, তাঁর বিদ্যালয়ে চর এলাকার শিক্ষার্থী রয়েছে। ছাত্রীরা মূলত বাল্যবিবাহের কারণে ঝরে পড়ে। শিক্ষার্থীদের মা-বাবা তাঁদের বলেন, মেয়ে বড় হলে নিরাপত্তা নিয়ে তাঁদের ভাবতে হয়। এ জন্যই ছোট থাকতে বিয়ে দিয়ে তাঁরা নির্ভার হতে চান। ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত যেতে তাঁর বিদ্যালয়ের অর্ধেকের বেশি মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়। মামলা ও জরিমানা করেও এই বাল্যবিবাহের প্রবণতা কমছে না।


জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, দারিদ্র্য ও বাল্যবিবাহের কারণে বেশি শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। এর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার বিষয়ে অমনোযোগী হয়ে পড়ার একটা প্রবণতাও লক্ষ করা যাচ্ছে। ঝরে পড়া রোধে তাঁরা অভিভাবক সমাবেশ করে থাকেন। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের সময়ও এ ব্যাপারে বলা হয়ে থাকে। শিক্ষকেরা এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করে পরিস্থিতির উন্নয়নের চেষ্টা করছেন।


তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। আর রাজশাহীতে ৭১ দশমিক ৯১ শতাংশ। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার এ হার চিন্তার বিষয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : তানভীর সানি