ঢাকা ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম
বসুন্ধরা ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টারে প্রশিক্ষণ, সনদ পেলেন ৪০ জন বড়দিনের আনন্দে সম্প্রীতির জয়গান বড়দিনের আনন্দে সম্প্রীতির জয়গান সিএফমোটো বাংলাদেশে অফিসিয়ালি লঞ্চ করল তাদের ফ্ল্যাগশিপ ৩০০ সিসি’র স্পোর্টস বাইক সিএফমোটো বাংলাদেশে অফিসিয়ালি লঞ্চ করল তাদের ফ্ল্যাগশিপ ৩০০ সিসি’র স্পোর্টস বাইক সিএফমোটো বাংলাদেশে অফিসিয়ালি লঞ্চ করল তাদের ফ্ল্যাগশিপ ৩০০ সিসি’র স্পোর্টস বাইক ভাইব্রেন্ট এখন উত্তরায় ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং খাতে চ্যালেঞ্জ ও সমাধান – বাফা প্রেসিডেন্ট প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মালিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সকম গ্রুপের ৩০ হাজার কোটি টাকা একার দখলে নিয়েছেন সিমিন রহমান বিসিকে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা

যে বুদ্ধিতে নিজেদের বাঁচাল সেরিলো-টেক্সাসে স্কুলে হামলায়

#

০৫ জুন, ২০২২,  4:41 PM

news image

যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের রব এলিমেন্টারি স্কুলে সম্প্রতি হওয়া বন্দুক হামলায় ১৯ শিশু ও দুজন শিক্ষকের মৃত্যু হয়। তবে এই ভয়াবহ ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যায় ১১ বছরের শিক্ষার্থী মিয়া সেরিলো।


বুদ্ধির জোরে হামলাকারীর চোখ ফাঁকি দেয় সে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে সেই অভিজ্ঞতার কথা জানায় সেরিলো।সে জানায়, ঘটনার দিন তাদের ক্লাসে ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’ নামের একটি সিনেমা দেখাচ্ছিলেন শিক্ষক। সিনেমাটি শেষ হলেই শোনা যায়- তাদের স্কুলের মধ্যে একজন বন্দুকধারী অপেক্ষা করছেন। এরপরই শিক্ষক ছুটে গিয়ে ক্লাসের দরজা লাগাতে যান। তবে ততক্ষণে সেই বন্দুকধারী তাদের ক্লাসে ঢুকে পড়ে।সেরিলো জানায়, সেই হামলাকারী প্রথমে শিক্ষকের চোখে চোখ রেখে বলে ‘গুডনাইট’। এরপরই তাকে গুলি করা হয়। এরপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া শুরু করে হামলাকারী। এ সময় ঝরঝর করে ভেঙে পড়তে থাকে ক্লাসরুমের কাঁচের জানালাগুলো। কয়েকটি গুলিতে লুটিয়ে পড়ে তার অনেক সহপাঠী। রক্তে ভেসে যায় ক্লাসরুম।সেরিলো জানায়, এরপর বন্দুকধারী চলে যায় পাশের ক্লাসে। সেখান থেকেও গুলি আর চিৎকার শোনা যাচ্ছিল। এই ফাঁকে মৃত শিক্ষকের ফোন নিয়ে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯১১-এ ফোন করে সেরিলো। তবে তার ধারণা ছিল, সে ছাড়াও ক্লাসে তার বাকি যেসব সহপাঠী বেঁচে ছিল তাদের মারতে হামলাকারী আবারও ফিরে আসবে।তাই মেঝেতে পড়ে থাকা রক্তাক্ত সহপাঠীদের শরীর থেকে রক্ত নিয়ে নিজের গায়ে মাখে সেরিলো। তাকে অনুসরণ করে একই কাজ করে তার অন্যান্য অক্ষত সহপাঠীরাও। এরপর নিহতদের মধ্যে মরার মতো করে পড়ে থাকে তারা।সাক্ষাৎকারের সময় সেরিলোর চোখ আতঙ্ক আর ভয়ে বিবর্ণ হয়ে যায়। সে বলে, ওই অবস্থায় প্রায় তিন ঘণ্টা পড়ে ছিলাম মরার মতো। এমন সময় স্কুলের বাইরে পুলিশের কণ্ঠস্বর শুনতে পাই। পরে তারাই আমাদের উদ্ধার করে।


সেরিলোর মা জানান, তার মেয়ে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। বাড়িতে কলিং বেল বাজলে বা ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের শব্দ হলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। অ্যালার্মের শব্দ শুনেও চমকে ওঠে সেরিলো।


তবে সন্তানকে ‘অলৌকিক’ হিসেবে মানেন তার বাবা-মা।তার মা জানান, সেরিলো পেটে টিউমার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। তার বেঁচে থাকা নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে তিন বছর বয়সে সফল অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে সে টিউমার অপসারণ করা হয়। তখন থেকে সেরিলোকে ‘অলৌকিক শিশু’ বলে ডেকে থাকে পরিবারের লোকজন। টেক্সাসের এ ঘটনার পর সেই নামকরণ আরও স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।

logo

সম্পাদক ও প্রকাশক : তানভীর সানি