মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কাউন্সিলর নূরুল ইসলাম নূরু
ডেস্ক রিপোর্ট
১৫ ডিসেম্বর, ২০২১, 8:42 PM
ডেস্ক রিপোর্ট
১৫ ডিসেম্বর, ২০২১, 8:42 PM
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কাউন্সিলর নূরুল ইসলাম নূরু
মহান বিজয় দিবসে গাজীপুর সহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সম্মানিত সদস্য ও টঙ্গী থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৪৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নূরুল ইসলাম নূরু এক শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন ‘‘জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা, বছরে কেবল একদিন আয়োজন করে প্রদর্শন করার জিনিস নয়। তাঁদের মহান আত্মত্যাগ, অবদানকে সর্বক্ষণ অন্তরে ধারণ করা আমাদের কর্তব্য। এই মহান বিজয় দিবসে লাল সবুজের অনুপ্রেরণায় হোক কোটি বাঙালির গর্বিত পথচলা।
১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। ৫১তম বিজয় দিবসে ত্রিশ লক্ষ শহীদ, সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা, সম্ভ্রম হারানো সকল মা—বোনের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। যাদের আত্মত্যাগে পেয়েছি আমরা বাংলাদেশ নামক মাতৃভূমি।’’১৬ ডিসেম্বর ৫১তম মহান বিজয় দিবস পালিত হবে। বীরের জাতি হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠার চিরস্মরণীয় দিন। মুক্তির জয়গানে মুখর জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান সেই অকুতোভয় বীরদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এ বিজয়।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের তুলনাহীন এই বিজয় দিবস এমনি এমনি আসেনি। এই বিজয় রক্তে কেনা ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধ করে এই বিজয় আমরা ছিনিয়ে এনেছি। একাত্তরের ২৫ মার্চ কালো রাত থেকে জাতির ওপর শুরু হয়েছিল মৃত্যু, ধ্বংসযজ্ঞ আর আর্তনাদের নারকীয় বর্বরতা।
কিন্তু এই ঘোরতর অমানিশা ভেদ করে ৯ মাসের মাথায় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এ দেশের আকাশে উদিত হয় স্বাধীনতার চির ভাস্বর সূর্য। পত পত করে উড়তে থাকে স্বাধীনতার পতাকা। এই পতাকা বিজয়ের পতাকা। নতুন দেশের উদয়ের সূর্য। স্বাধীন সূর্যোদয়। এই স্বাধীন দেশের নামই বাংলাদেশ।
৯ মাস যুদ্ধ করে আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছি, স্বাধীনতা লাভ করেছি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ তাই আমাদের সবচেয়ে গৌরবময় ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের হাজার বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘটনা। এই মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সবচেয়ে আত্মোৎসর্গের ঘটনাও। বিজয় ছিনিয়ে আনতে গিয়ে লাখো প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়েছে। কত যে ত্যাগ, কত যে অশ্রু—তার কোনো হিসাব নেই। সাহস করে চোখের জলেই আমরা বীরগাথা রচনা করেছি। লাল—সবুজের পতাকা আমাদের সেই আত্মোৎসর্গের কথাই মনে করিয়ে দেয়। ত্যাগের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ আমাদের সবচেয়ে উজ্জ্বল, আনন্দের ঘটনাও। মায়ের অশ্রু, বীরের রক্ত স্রোত— এ মাটির, এ জাতির গৌরব। চিরদিনের সম্পদ। আমাদের রক্তার্জিত পতাকা তাই চিরদিন বাংলার আকাশে উড়বে।