মগরাহাট সার্কেল অফিসারের তৎপরতায় বেলগাছিয়া থেকে উদ্ধার মারণাস্ত্র ও গোলাবারুদ
১৪ মে, ২০২২, 2:36 PM
১৪ মে, ২০২২, 2:36 PM
মগরাহাট সার্কেল অফিসারের তৎপরতায় বেলগাছিয়া থেকে উদ্ধার মারণাস্ত্র ও গোলাবারুদ
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের অধীনে মগরাহাট থানা ও উস্হি থানার সার্কেল অফিসার শ্রী বাসুদেব বাগের নেতৃত্বে হানা দেওয়া দেয় মগরাহাট থানা র অন্তর্গত বেলগাছিয়া গ্রামে। এবং এখন থেকে মনিরুল ইসলাম নামে এক দাগী অপরাধী কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ একটি 7,এমএম, পিস্তল ও সাত রাউন্ড গুলি এবং একটি একনলা বন্দুক ও একটি পাইপ গান এবং ৫০০,গ্রাম, সাদা রঙের ও লাল রঙের বারুদ পাওয়া যায়। যেগুলো শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরনের কাজে ব্যবহার করা হয়। ধৃত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ডায়মন্ডহারবার জেলা দায়রা আদালতে তোলা হবে। তবে একসময় এই মগরাহাট থানা র অন্তর্গত বেলগাছিয়া গ্রাম এবং মামুদপুর গ্রাম ছিল দুস্কৃতিকারীদের আস্তানা। আজ থেকে প্রায় কুড়ি বা ২৫,বছর, আগে এই এলাকায় চুরি ও ছিনতাই লেগে থাকতো। তৎকালীন মগরাহাট থানা র অফিসার ইনচার্জ শ্রী অরবিন্দ আচার্য র নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে অনেকটাই কমে যায় চুরি ও ডাকাতি। তখন সে সমস্তই মস্তান ও ডাকাত এবং চোররা বামফ্রন্টের নেতা ও মন্ত্রীদের সাথে দেখা যেত, সময়ের পরিবর্তনের ফলে তৃনমূল দল ক্ষমতায় আসার পর তারা রঙ্গ পাল্টে তৃনমূল দলের নেতা ও ক্ষমতার অধিকারী হয়ে যান। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকা কিছুটা শান্ত থাকলে ও কয়েক বছর আগে মগরাহাট থানা র অন্তর্গত বেলগাছিয়া গ্রামে বিরোধী দলের নেতা ও এবং একসময় মগরাহাট থানা র ডন প্রায়ত আইজুল লস্কর কে মেরে ফেলে দেওয়ার পর সামনে কেউ প্রতিপক্ষ না থাকার কারণে অন্য ডন এই এলাকায় দখল নেয় এবং তিনি বর্তমানে তৃনমূল দলের মগরাহাট থানা র শেষ কথা এবং সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত হয়ে চলেছে। তার পর আবার সেই এলাকায় ফের কি কারণে সমাজবিরোধী কাজ বেড়ে উঠেছে, সেটি প্রশাসনের কাছে ভাবার বিষয় হয়ে পড়েছে। তবে ডায়মন্ডহারবার জেলা কে অপরাধ মুক্ত জেলা করার লক্ষ্যে নিয়ে এগিয়ে চলেছে মগরাহাট থানা ও উস্হি থানার অধীনস্থ পুলিশ অফিসাররা। তাদের চেষ্টায় ধরা পড়েছে বেলগাছিয়া থেকে মনিরুল ইসলাম নামে এই দুস্কৃতিকারী। ধৃত ব্যক্তিকে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জেরা করা হবে বলে জানা গেছে ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের সূত্র থেকে।