মগরাহাট পশ্চিমের হরিহরপুর অঞ্চল প্রধান ও উপ প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনলেন ১২ সদস্য
২৬ নভেম্বর, ২০২১, 9:43 PM
২৬ নভেম্বর, ২০২১, 9:43 PM
মগরাহাট পশ্চিমের হরিহরপুর অঞ্চল প্রধান ও উপ প্রধানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনলেন ১২ সদস্য
আজ পশ্চিম বাংলার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার অন্তর্গত ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের অধীনে মগরাহাট পশ্চিমের হরিহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃনমূল দলের প্রধান এবং উপ প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির এবং ক্ষমতা অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগ এনে অনাস্থা আনলেন। অভিযোগ কারী গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের দাবি হরিহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জনাব নাসির উদ্দিন ও উপপ্রধান মিলে পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া গ্রাম উন্নয়নের জন্য দেওয়া টাকা পয়সা আত্মস্বাধ করছে। এবং এই উন্নয়নের একটি টাকা নাকি মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের বিধায়ক ও সাবেক মন্ত্রী কে দিতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের এক নেত্রী ও জেলা পরিষদের সদস্য কে মনোরঞ্জনের জন্য উন্নয়নের টাকা থেকে ভেট দিতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে হরিহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধান দলের নেতা ও পঞ্চায়েত সদস্যদের সাথে না আলোচনা করে এই সমস্তো দুর্নীতি করছেন বলে উল্লেখ করেন। অনাস্থা কারি হরিহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের, ১২,জন, সদস্য বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম বাংলার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে যাওয়া টাকা যদি দলের বিধায়ক ও দলের নেত্রী এবং জেলা পরিষদের সদস্য কে দিতে হয় কমিশন হিসেবে তাহলে হরিহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়নের কাজ থমকে দাড়িয়ে থাকবে। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান এবং উপপ্রধান গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়নের টাকা বিভিন্ন ভাবে আত্মস্বাধ করে যাচ্ছে। বার জেলা নেতৃত্ব ও মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের নেতৃত্ব কে বলে কোন কাজ না হওয়াতে বাধ্য হয়ে আমরা হরিহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধান বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে এসেছি। তাদের দাবি পশ্চিম বাংলার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়নের কাজ চলছে। তখন ঐ উন্নয়নের কাজের টাকা থেকে দলের বিধায়ক ও এক জেলা পরিষদের সদস্য কে যদি দিয়ে দেয় তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া টাকা উন্নয়নের জন্য কাজ করবো কি করে। তাই তারা তৃনমূল দলের জেলা নেতৃত্ব ও পশ্চিম বাংলার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কে তাদের অভিযোগ জানিয়েছেন। এর আগে একই অভিযোগ এনে ছিলেন মগরাহাট পশ্চিমের উত্তর কুসুম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জনাব কুতুবউদ্দিন লস্কর। তিনি সরাসরি মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক ও সাবেক পশ্চিম বাংলার মন্ত্রী জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে তোলা বাজি র অভিযোগ। তার দাবি ছিল তার গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওয়া পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া টাকা থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকা কাটমনি দিতে হবে অভিযোগ করেন। সেই সঙ্গে আরো অভিযোগ ছিল এক দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য কে ও তার স্বামী কে সরকারি কাজে ট্রেন্ডার থেকে কাটমানি পাইয়ে দেবার । সম্প্রতি মগরাহাট পশ্চিমে তৃনমূল দলের পুরাতন কর্মীদের সরিয়ে দিয়ে বিভিন্ন দল থেকে যোগ দেওয়া নেতা কর্মীদের পুরাতন নেতা ও কর্মীদের মাথার উপর তুলে দিয়ে নেতৃত্ব দেওয়া কেউ মানছেন না। তার উপর মাড়ার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে উঠে এসেছে হরিহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং উপপ্রধান বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও একনায়কতন্তিক ভাবে পঞ্চায়েতের কাজ চালানোর।