ব্রিটেনের রানি হবেন ক্যামিলা, জানালেন এলিজাবেথ
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 7:49 AM
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 7:49 AM
ব্রিটেনের রানি হবেন ক্যামিলা, জানালেন এলিজাবেথ
ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সিংহাসনে আরোহণের ৭০তম বার্ষিকীতে দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের ভবিষ্যৎ রূপরেখা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, তার ছেলে প্রিন্স চার্লস যখন ব্রিটেনের রাজা হবেন, তখন কুইন কনসর্ট হিসেবে পরিচিত হবেন ডাচেস অব কর্নওয়েল ক্যামিলা।
রাজত্বের ৭০ বছরের ঐতিহাসিক মাইলফলক অর্জন উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে রানি এলিজাবেথ বলেছেন, এটা তার আন্তরিক ইচ্ছা যে, ক্যামিলার পদবি হবে ‘কুইন কনসর্ট।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ব্রিটেনের সিংহাসনে যিনি রাজা থাকেন তার স্ত্রীকে ‘কুইন কনসর্ট’ বলা হয়। এর অর্থ ক্যামিলার ভবিষ্যৎ পদবি হবে ‘রানি ক্যামিলা’।
২০০৫ সালে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন চার্লস ও ক্যামিলা। যদিও তার আগে দু’জনেরই বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল। চার্লস এর আগে প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন। কিন্তু ফ্রান্সের রাজধনী প্যারিসে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রিন্সেস ডায়ানা মারা যাওয়ার আগের বছর অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু পার্কার বোলসকে বিয়ে করেছিলেন ক্যামিলা। ১৯৭৩ সালে তাদের বিয়ে হয়। এর মাত্র দুই বছর পর ১৯৭৫ সালে বিচ্ছেদ ঘটে তাদের।
ব্রিটিশ রানিই প্রথম, যিনি ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের ইতিহাসে প্ল্যাটিনাম জুবিলি উদযাপন করছেন। আগামী জুনে তার ক্ষমতায় আরোহণের সাত দশক পূর্তি উদযাপনের অনুষ্ঠান হবে। বর্তমানে রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয় স্যান্দ্রিংহাম এস্টেটে একান্ত সময় কাটাচ্ছেন।
১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বাবা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর পর মাত্র ২৫ বছর বয়সে এলিজাবেথের রাজত্বের শুরু হয়েছিল। রানি বলেছেন, ৭০ বছর পর প্রথম সেই দিনটির কথা তিনি আজও স্মরণ করেন। ওই দিনটি মনে আছে ‘আমার বাবা রাজা ষষ্ঠ জর্জের মৃত্যুর জন্য যতটা, আমার রাজত্বের শুরুর জন্যও ততটা।’
৯৫ বছর বয়সী ব্রিটিশ রানি এক লিখিত বার্তায় বলেছেন, আমার প্রতি সমর্থনের জন্য আপনাদের সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার প্রতি আপনারা যে আনুগত্য ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে চলেছেন, সে জন্য আমি আপনাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। ডিউক অব এডিনবার্গ ও রানির স্বামী প্রিন্স ফিলিপ গত বছর মারা গেছেন। তাকে ছাড়াই ব্রিটেনের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রানির প্ল্যাটিনাম জুবিলি উদযাপিত হচ্ছে। রানির রাজত্বের সময়কালে ব্রিটেনে ১৪ জন প্রধানমন্ত্রী তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন।