বেআইনি কাজ ও অনিয়মের অভিযোগ আনলেন মগরাহাট পশ্চিমের রঙ্গিলাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা
০৩ ডিসেম্বর, ২০২১, 5:00 PM
০৩ ডিসেম্বর, ২০২১, 5:00 PM
বেআইনি কাজ ও অনিয়মের অভিযোগ আনলেন মগরাহাট পশ্চিমের রঙ্গিলাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা
দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েত কাজ সদস্যদের ডেকে কাজ করছে না। তার সদস্যদের অনুপস্থিতিতে একের পর এক পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া উন্নয়ন খাতের টাকা ও প্রকল্প বেআইনি ভাবে পাশ করে নিচ্ছেন রঙ্গিলাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শ্রী রজত শুভ্র বিশ্বাসের ও পঞ্চায়েত সমিতির এক কর্মধ্যোক্য এবং এক জেলা পরিষদের সদস্যের বিরুদ্ধে। এমন একটি অভিযোগ আনেন রঙ্গিলাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট, ৯,জন, তৃনমূল দলের সদস্যদের মধ্যে, ৭,জন, তৃনমূল দলের সদস্য। তাদের অভিযোগ যে গ্রাম পঞ্চায়েতের আই এস জি পি পি এবং এম জি এন আর ই জি জের প্রকল্প বরাদ্দ করার যে নিয়োম আছে গ্রাম পঞ্চায়েতের আইনের মধ্যে তা বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে একচেটিয়া ভাবে পাশ করে নিয়ে কাজ করছেন। এই প্রকল্পের দশ ভাগ টাকা হিস্যে ও ভাগ দিতে হয় এক জেলা পরিষদ সদস্য কে এবং এলাকার তৃনমূল দলে কিছু নেতাকে। এবং ট্রেন্ডারের বরাদ্দ কৃত পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়নের টাকা থেকে ভাগ দিতে হয় নাকি এক দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বিধায়ক কে। তার কোথায় মগরাহাট পশ্চিমের পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালনা হয়। এর আগে টাকার বিনিময়ে নাকি ইয়ারপুর অঞ্চল এর তৃনমূল দলের বেশি সদস্য থাকতেও বিজেপি থেকে আসা সদস্য কে প্রধান করেছিলেন ঔ তৃনমূল দলের নেতা ও বিধায়ক। একই সাথে মগরাহাট পশ্চিমের কালিকাপোতা গ্রাম পঞ্চায়েত ও উস্হি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও উপ প্রধান তৈরি করা হয়। শুধুমাত্র মগরাহাট পশ্চিমের উত্তর কুসুম অঞ্চল প্রধান কে ফেলতে গিয়ে বে কাদায় পড়ে যান দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক ও পশ্চিম বাংলার সাবেক মন্ত্রী জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। তিনি সরাসরি উত্তর কুসুম অঞ্চল প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে গিয়ে ও তার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে গিয়ে পিছনে অবস্থান নিতে বাধ্য হন। কারণ মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের মধ্যে যুবো তৃনমূল দলের সাথে মাদার তৃনমূল দলের ইগোর লড়াইয়ে যুব তৃনমূল দলের নেতা ও উত্তর কুসুম অঞ্চল প্রধান জনাব কুতুবউদ্দিন লস্কর পাল্টা চালে শেষ হয়ে যায় তার বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত প্রধান থেকে সরানোর খেলা। এবং উত্তর কুসুম অঞ্চল প্রধান সরাসরি গনমাধ্যমের কাছে মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক ও সাবেক পশ্চিম বাংলার মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তর এর মন্ত্রী জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে সরকার প্রকল্প থেকে কাটমানি এবং রাস্তার উপর লাগাতে যাওয়া ভাপার লাইট বসানো র কাজ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা র ঘুষের অভিযোগ করেন। তাই নয় তাদের বক্তব্য ছিল মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক ও তার পরিবারের সদস্যরা নাকি পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও ছবি সামনে রেখে করে খাচ্ছেন। এবং একই অভিযোগ করেন মগরাহাট পশ্চিমের এক জেলা পরিষদ সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। তিনি নাকি তার স্ত্রী কে সামনে রেখে মগরাহাট পশ্চিমের পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি র যত ট্রেন্ডার বেআইনি ভাবে পাশ করে কাটমানি র বিনিময়ে করে কেমে খাচ্ছে। এই কাজের যে সমস্ত তৃনমূল দলের নেতা ও কর্মীরা তার প্রতিবাদ করবেন তাদের কে তৃনমূল দলের মধ্যে থেকে তাড়িয়ে দেবেন। পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া উন্নয়নের টাকা ও প্রকল্প ঠিক মতো পঞ্চায়েত আইন দ্বারা করা হচ্ছে না বলে প্রতিবাদ করার জন্য মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের বলিষ্ঠ নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতি র পূরত পরিচালক জনাব সাজিদুল হক গায়েন ও আরেক পঞ্চায়েত সমিতি র সভাপতি ও তৃনমূল দলের মগরাহাট পশ্চিমের নেতা শ্রী সব্যসাচী গায়েন এবং আরেক শিক্ষা দপ্তরের পরিচালক জনাব নুরুজ্জামান সেখ সহ কিছু পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কে দলের কাজ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। এবং মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের নেত্রী মগরাহাট পশ্চিমের জেলা পরিষদ সদস্য শ্রীমতী সঙ্গীতা হালদার কে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। এবং মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের শ্রমিক ও লেবার পার্টির নেতা জনাব আক্তার হোসেন হালদার কে সরিয়ে রেখেছেন। এই সমস্তই নেতা একদিন মগরাহাট পশ্চিমের মাটিতে তৃনমূল দলের ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দলের কাজ কে প্রসারিত করেছিলেন। এবং মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের নেতা ও বিধায়ক কে জেতাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন। এবং মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের যুব নেতা জনাব ইমরান মোল্লা ও তৃনমূল দলের জয়হিন্দ বাহিনী র সভাপতি জনাব ইন্তিয়াজম কাজীকে সরিয়ে রেখেছেন। এই ব্যাপারে তৃনমূল দলের জেলা নেতৃত্ব কে বলে আজও পযন্ত কাজ না হওয়াতেই সরাসরি অভিযোগ জানিয়েছেন তৃনমূল দলের নেত্রী এবং পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবং তৃনমূল দলের সাধারণ সম্পাদক শ্রী অভিষেক ব্যানার্জী কে। কিন্তু কতটা বাস্তবায়নে রূপ লাভ করবে তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। মগরাহাট পশ্চিমের রঙ্গিলাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত মোট জনসংখ্যার বেশি ভাগ মানুষ চান পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের টাকা সরাসরি পঞ্চায়েত মাধ্যমে পঞ্চায়েত সদস্যদের দ্বারা কাজ হোক চাইছেন। কিন্তু একশ্রেণীর কাটমানি খোর তৃনমূল দলের নেতা ও নেত্রী রা চাইছেন যে বরাদ্দ কৃত টাকা থেকে তাদের তহবিলে দিয়ে কাজ করতে হবে। এই নিয়ে নতুন করে গোল বেধেছে। রঙ্গিলাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত মোট সদস্য হল, ১২, জন তার মধ্যে তৃনমূল দলের, ৮,জন, বিজেপি, ৩,ও, রঙ্গিলাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত অধীনে আলমপুর থেকে একজন নিরদল সদস্য জয়ী হয়েছিল। সব মিলিয়ে মোট, ১২,গ্রাম, পঞ্চায়েত সদস্য। তার মধ্যে অনিয়ম ও বেআইনি ভাবে কাজ করার জন্য অভিযোগ এনেছেন তৃনমূল দলের, ৭,জন, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। তারা ইতিমধ্যেই মগরাহাট পশ্চিমের বি ডি ও, এবং ডি এম এবং তৃনমূল দলের নেত্রী এবং পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এবার দেখার বিষয় তৃনমূল দলের নেত্রী এবং পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।