নোয়াখালী-চাটখিলের একসময়ে ছাত্রলীগ,যুবলীগ,আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের রক্ষা করতে গিয়ে নাজমুল হুদা শাকিল হামলা-মামলার ও নির্যাতিত-নিপীড়িত শিকার হয়েছিলেন৷ দুঃসময়ে নেতা স্বৈরচার বিরোধী আন্দোলন ও বিএনপি- জামায়তে জোট বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালনকারী এক লড়াকু সৈনিকের নাম নাজমুল হুদা সাকিল, এবং ভিপি সাকিল নামে পরিচিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা,ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের, এখন থেকে সব নির্বাচনের মনোনয়ন প্রদান এর বেলায় অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। একসময়ে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার করেন দুঃসময়ের নির্যাতিত,নিপিড়িত, পরিক্ষিত ত্যাগী নেতাদের গুরুত্ব দেওয়ার জন্য। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের নেতারা এখন বিলীন হওয়ার পথে। প্রধানমন্ত্রী এখন দেখে দেখে পরীক্ষিত নেতাদের মূল্যায়ন করা শুরু করেছেন। দুঃসময়ে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নির্যাতিত-নিপীড়িত নেতা নাজমুল হুদা (ভিপি সাকিল) ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের অন্যতম একজন। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে নোয়াখালী জেলা মজিব বাহিনীর কমান্ডার,মাহমুদুর রহমান বেলায়েতের অন্যতম একজন সহযোগী হিসেবে আশির দশকে স্বৈরচার বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৯৮৭ সালে সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। ১৯৮৭ সালে চাটখিল উপজেলা ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন কমিটির আহবায়ক হয়েছেন। ১৯৮৮ সালে চাটখিল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হয়েছেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের  চাটখিল উপজেলার আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯১ সালে চাটখিল কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ভিপি পদে মনোনয়ন লাভ করেছেন। ১৯৯১ সালে নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হয়েছেন। ১৯৯২ সালে চাটখিল কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে ভিপি পদে মনোনয়ন লাভ ও নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৩ সালে চাটখিল উপজেলার মুক্তিযোদ্ধ ছাত্র কমান্ডের আহবায়ক হয়েছেন। ১৯৯৪ সালে চাটখিল উপজেলার আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশ সম্পাদক হয়েছেন। ১৯৯১-৯৬ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নাজমুল হুদা সাকিল (ভিপি সাকিল) চাটখিলে জোরালো ভূমিকা পালন করেছেন। ২০০১ সালের নির্বাচনের পরবর্তী পরিস্থিতে নাজমুল হুদা শাকিল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এজন্য তিনি বহু হামলা-মামলার শিকার হয়েছিলেন। রাজনৈতিক মাঠে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ২০২৩ সালে চাটখিল উপজেলার আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। ২০১৩ সাল পর্যন্ত চাটখিল উপজেলার  আওয়ামীলীগে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এখনো চলমান আছেন। নাজমুল হুদা সাকিল তখন কার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন। ১৯৯১-১৯৯৬ পর্যন্ত নাজমুল হুদা সাকিল বার বার মামলা হামলার স্বীকার ও গ্রেফতার হয়েছেন। ২০০১ সালে নির্বাচনে পরবর্তীতে হামলা মামলার স্বীকার হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু আদর্শ সৈনিক, নাজমুল হুদা সাকিল (ভিপি সাকিল)।