প্রক্সি নিয়ে চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় ধরা পড়া চাকরিপ্রার্থী সাইমুম হাসান!
২৮ আগস্ট, ২০২২, 4:12 PM
২৮ আগস্ট, ২০২২, 4:12 PM
প্রক্সি নিয়ে চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় ধরা পড়া চাকরিপ্রার্থী সাইমুম হাসান!
চাকরির লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। ডাক পড়েছে মৌখিক পরীক্ষায়। ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা প্রার্থীকে লিখতে বললে লিখলেন তিনি। কিন্তু লিখিত পরীক্ষার হাতের লেখার সঙ্গে এখনকার লেখার কোনো মিল পাওয়া গেল না।
রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক পদের চাকরির জন্য লিখিত পরীক্ষায় প্রক্সি নিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পর এভাবেই এক চাকরিপ্রার্থী ধরা পড়েছেন।
আজকের পত্রিকা অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
ওই চাকরিপ্রার্থীর নাম সাইমুম হাসান (২৫)। রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গঙ্গানারায়ণপুর গ্রামের মমতাজুল ইসলামের ছেলে তিনি। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি কলেজ থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক উত্তীর্ণ হয়েছেন ২০১৯ সালে। তাঁর বাবা একজন কলেজশিক্ষক। জিজ্ঞাসাবাদে সাইমুম স্বীকার করেছেন, প্রক্সি নিয়ে তিনি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
সাইমুম জানান, প্রাইভেট পড়তে গিয়ে রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গা এলাকার মো. ওয়ালিদ নামের এক তরুণের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। সেই ওয়ালিদই সম্প্রতি তাঁর চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়ে যান। এতে তিনি পাস করেন। আজ শনিবার মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তিনি নিজে। সেখানেই প্রক্সি দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার ব্যাপারে ধরা পড়ে গেছেন।
এ বিষয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল জানান, মোট ৩৪টি পদের জন্য সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে ১৩টি পদ অফিস সহায়কের। সাইমুম এ পদেরই প্রার্থী। আজ বিকেল থেকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তাঁর কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল। ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার সময় হাতের লেখা মিলিয়ে দেখছিলেন। তখন সাইমুমের হাতের লেখা লিখিত পরীক্ষার খাতার সঙ্গে মেলেনি। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি প্রক্সি নিয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার কথা স্বীকার করেন।
আবদুল জলিল আরও জানান, এই অপরাধের জন্য ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ১৮৮ ধারা মোতাবেক সাইমুমকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই নিয়োগ শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন হয়েছে। সাইমুমের প্রক্সি নিয়েও ধরা পড়ার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণিত হলো। সাইমুমের লিখিত পরীক্ষা যে দিয়েছিল, তাঁর সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হয়েছে।