পশ্চিম বাংলা সরকারের সেচ ও পি ডব্লিউটিএ জমি দখলের চেষ্টা মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 7:05 PM
২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, 7:05 PM
পশ্চিম বাংলা সরকারের সেচ ও পি ডব্লিউটিএ জমি দখলের চেষ্টা মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক
পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন নির্দেশ দিয়েছেন যে কোন সরকারি জমি তে কেউ স্থানান্তর ও অধিগ্রহণ এবং জবর দখল করতে পারবেন না । ঠিক তার উল্টো পথে হাটছেন পশ্চিম বাংলার সাবেক মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী এবং পশ্চিম বাংলার বিধান সভার সদস্য ও মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লা এমন অভিযোগ করেন উস্হি নৈনানপুর এবং উস্হি এলাকার বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ কয়েক বছর আগে মন্ত্রী থাকার সময় উস্হি থানা থেকে ডিল ছোড়া দূরত্বে একটি ছোট খাস জমি কেনেন। এবং সেই জমিটি ছিল উস্হি থেকে ধর্মতলা যাওয়ার পাকা রাস্তার গায়ে। সেই খাস জমি ও পি ডব্লিউ এ জমি দখল করে নিজের বিলাসবহুল বাড়ি তৈরি করে। যে বাড়িটি পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার ভাইপো ডায়মন্ডহারবারের এম পি শ্রী অভিষেক ব্যানার্জী বাড়িকে লজ্জায় ফেলে দেবে। এই বাড়িটি নাকি আবার তৈরি করা হয়েছে মগরাহাট পশ্চিমের বিভিন্ন যায়গার সরকারি টাকার কাটমানির টাকা থেকে এমন অভিযোগ করেন মগরাহাট পশ্চিমের বি জে পি থেকে শুরু করে বামফ্রন্ট এবং ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীরা। তাই নয় ঐ বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য যে বাড়িটি মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক বানিয়েছে তার কিছু টাকা নাকি পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তর কুসুম অঞ্চলের উন্নয়নের খাত থেকে দিতে হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন মগরাহাট পশ্চিমের উত্তর কুসুম অঞ্চল প্রধান কুতুবউদ্দিন লস্কর। তার বক্তব্য ছিল পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রাম পঞ্চায়েত উন্নয়ন খাত থেকে যদি টাকা দিতে হবে তাহলে তার পঞ্চায়েত এলাকার কাজ থমকে দাড়াবে। তাই নিয়ে একসময় বিরোধ শুরু হয় সাবেক মন্ত্রী ও মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লার। যার জেরে মগরাহাট পশ্চিমের উত্তর কুসুম অঞ্চল প্রধান কুতুবউদ্দিন লস্কর কে প্রধান থেকে সরাতে চেয়েছিলেন বিধায়ক। যার জন্য উত্তর কুসুম অঞ্চল এর এক দুষ্কৃতিকারী কে সাহায্য নিয়ে এবং বর্তমানে মগরাহাট পশ্চিমের আই এন টি টি ইউ সি আই সভাপতি ফিরোজ কে নিয়ে হবির সাথে যোগাযোগ করতে বলেন প্রায়ত উত্তর কুসুম অঞ্চলের খুন হয়ে যাওয়া যুব তৃনমূল দলের সভাপতি সুজাউদ্দিন গাজী কে। কিন্তু তিনি না শোনাতে তাকে খুন হয়ে যেতে হয় দুস্কৃতিকারীদের হাতে। সেই কেসের তদন্ত চালাচ্ছেন ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশ। সেই কেসের নয় জন আসামিকে উস্হি থানার অফিসার ইনচার্জ শ্রী মিলটন রক্ষিত গ্রেফতার করলেও সুজাউদ্দিন গাজী কে ফোনে হুমকি দেওয়া মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক ও আই এন টি টি ইউ সি আই সভাপতি এখনো অধরা। তার জের কাটতে না কাটতে আবার মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক ও পশ্চিম বাংলার সাবেক মন্ত্রী র বিরুদ্ধে সরকারি খাস জমি দখল করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্হানীয় লোকজনের কাছে। উস্হি থানা এলাকার বাসিন্দারা ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছেন স্হানীয় বি ডি ও এবং স্হানীয় উস্হি থানার অফিসার ইনচার্জ শ্রী মিলটন রক্ষিত কে। এবং ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশ ও ডি এম দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও এস ডি ও এবং এস ডি পি ও ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশ। এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার ভূমি সংস্কার দপ্তর ও পি ডব্লিউ এ এবং তারা গনমাধ্যমের মাধ্যমে এই সরকারি জমি জবর দখল নিয়ে প্রতিবাদ হিসেবে তুলে ধরেছেন। তবে এখনো পর্যন্ত মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক এর সরকারি জমি দখল নিয়ে মুখে কুলুপ এটে বসে আছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।