দোয়ারাবাজারে শিকল বন্ধি কিশোরী প্রতিবন্ধী আম্বিয়াকে চিকিৎসা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরাতে বৃত্তবানদের প্রতি পরিবারের আকুতি
২১ আগস্ট, ২০২২, 5:24 PM
২১ আগস্ট, ২০২২, 5:24 PM
দোয়ারাবাজারে শিকল বন্ধি কিশোরী প্রতিবন্ধী আম্বিয়াকে চিকিৎসা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরাতে বৃত্তবানদের প্রতি পরিবারের আকুতি
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় শিকলে বন্ধি আম্বিয়া নামে এক কিশোরীর করুন জীবন, অর্থ নয়, পরিবার চায় শিকল বন্দি থেকে চিকিৎসা সেবা নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে। অর্থের অভাবে প্রতিবন্ধী কিশোরী আম্বিয়ার চিকিৎসা করাতে পারছেনা দরিদ্র পিতামাতা। মানসিক প্রতিবন্ধী আম্বিয়া (২২) সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের দক্ষিণ উস্তিংঙ্গেরগাও গ্রামের দিনমুজুর মৃত আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে। আম্বিয়া খাতুন ৮ বছর পূর্বে হঠাৎ মানুষিক রোগে আক্রান্ত হয়ে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারেনি তার দরিদ্র বাবা-মা। মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরী ব্রেইনে সমস্যা দেখা দেয়ার পর থেকে রাস্তাঘাটে যে বা যাকেই সামনে পান তাকেই মারধর করেন, আসবাবপত্র ভাংচুর এবং তার আক্রমণ থেকে বাচঁতে ও হারিয়ে যাওয়ার ভয়ে হাতে শিকল পরিয়ে রাখেন তার মা। অসহায় মাতা কান্না জড়িত কন্ঠে বিত্তবানদের প্রতি টাকা পয়সা না মানুষিক চিকিৎসার জন্য আকুতি জানান । বাবা দিনমুজুর মৃত আবু বকর সিদ্দিকের ২ছেলে ও ৩ মেয়ের মধ্যে মানসিক প্রতিবন্ধি আম্বিয়া খাতুম তৃতীয় । দিন মুজুরের কাজ করে কোন রকম চলে তাদের অভাব অনটনের সংসার । তাদের এমনিতেই নুন আনতে পানতা পুড়ায়,এরমধ্যে টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না প্রতিবন্ধী মেয়ে আম্বিয়ার। আম্বিয়া খাতুনের ছোট ভাই মোজাহিদ হোসেন বলেন, আমার বোন হারিয়ে যাবে বলে তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। যদি হারিয়ে যায় তাহলে কোথায় খোজঁবো বোনকে। টাকা নেই তাই মানসিক ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করাতে পারিনি। আমি টাকা চাইনা। কোন হৃদয়বান ব্যাক্তি আমার বোনকে চিকিৎসা করালে আমি কৃতজ্ঞ হতাম। প্রতিবন্ধি আম্বিয়া খাতুনের মা রহিমা খাতুন জানান, আম্বিয়া ৮ বছর আগে হঠাৎ মানুষিক রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। টাকার অভাবে আমার মেয়েকে চিকিৎসা করাতে না পেরে গ্রাম্য ডাক্তার,কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করাই। কিন্তু এতে মেয়ের মানসিক সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। তিনি আরো বলেন মানসিক ডাক্তার দিয়ে উন্নত চিকিৎসা করালে মেয়ে আম্বিয়া খাতুন ভাল হয়ে যাবে। সরকারী ভাবে যদি আমার মেয়ে আম্বিয়া খাতুনের চিকিৎসা হতো তাহলে আমারা আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে দোয়া করতাম। #########
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ১৯ বছর পর স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রীকে হত্যার ঘটনার মামলায় ১৯ বছর পর স্বামী আব্দুল্লাহকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালত।
রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দম ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ এ রায় ঘোষণা করেন। তবে দন্ডিত আসামী আব্দুল্লাহ পলাতক রয়েছেন। মামলার অপর দুই আসামি খালাস পেয়েছেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন।
আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৭ আগস্ট তৎকালীন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ বর্তমানে(শান্তিগঞ্জ উপজেলার) জয়কলস গ্রামের আব্দুল্লাহের সাথে শেফালী বেগমের বিয়ে হয়। আর্থিক অভাব অনটনের কারণে তাদের সংসারে প্রায়ই ঝগড়া হতো। ঘটনার প্রায় ২ মাস পূর্বে আসামী আব্দুল্লাহ সৌদি আরব যাওয়ার জন্য তার স্ত্রী শেফালী বেগমের কাছে ১ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্ত্রী শেফালী বেগমকে ২০০৩ সালের ২৭ অক্টোবর আব্দুল্লাহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে হত্যা করেন। পরে বাড়ির পিছনে একটি আমগাছে ঝুলিয়ে রাখেন মরদেহ। খবর পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়ে মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে এবং আলামত জব্দ করে। শেফালীর শরীরে বিভিন্নস্থানে জখম দেখতে পায় পুলিশ। শেফালী বেগমের ডান হাঁটুর নীচে ও বুকে জখম ছিল।