দেখার হাওরে মৎস্যজীবির হাত-পা বেধেঁ রাতবর নির্যাতন
১০ নভেম্বর, ২০২১, 9:22 PM
১০ নভেম্বর, ২০২১, 9:22 PM
দেখার হাওরে মৎস্যজীবির হাত-পা বেধেঁ রাতবর নির্যাতন
দোয়ারাবাজার উপজেলার দেখার হাওরে মৎস্যজীবির হাত-পা বেধেঁ রাতবর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মান্নারগাঁও ইউনিয়নের করিমপুর সংলগ্ন দেখার হাওরের মকবুলের ডোবায় ঘটনাটি ঘটেছে। আহত মৎস্যজীবির নাম মো. মকবুল হোসেন (৩০)। সে সাওদেরগাঁও গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে হাওর থেকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মকবুল হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনকে অভিযুক্ত করে দোয়ারাবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মকবুল হোসেনের স্বত্ব দখলীয় রের্কডীয় ভূমিতে ডোবা তৈরী করে বাশঁ কাটা লাগিয়ে মাছ ফলাইয়া জীবিকা নির্বাহ করেন। ঘটনার রাতে মকবুল হোসেন ডোবার পাড়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর রাতে ডোবার বাশঁ-কাটা উঠিয়ে মাছ ধরার শব্দ পেয়ে মকবুল হোসেনের ঘুম ভাংলে দেখতে পান একই এলাকার সিরাজুল ইসলাম, আলী হায়দর, শরাফত আলী, হেলাল মিয়া, আবু সৈয়দ, আলীম উদ্দীন, আবুল হাসনাত মশাড়ি জাল পেলে মাছ শিকার চেষ্টাকালে তাদেরকে মাছ ধরতে নিষেধ করেন। পরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মকবুল হোসেনের হাত-পা বেধেঁ নির্যাতনের এক পর্যায়ে সকাল হয়। চিৎকার শুনে হাওরের একজন মৎস্যজীবি মকবুল হোসেনের কাছা কাছি যাওয়া মাত্রই প্রতিপক্ষরা পালিয়ে যায়। আহত মকবুল হোসেন বলেন, আমার রের্কডীয় ভূমির মধ্যে ৪ টি ডোবা করেছি মাছ ফলানোর জন্য। কিন্তু প্রতি রাতেই সিরাজুল ইসলাম গংরা ডোবা থেকে মাছ চুরি করে। আমি প্রাণের ভয়ে দেখেও না দেখার বান করি। ঘটনার ভোর রাতে প্রতিপক্ষরা আমাকে প্রাণে মেরে মাছ লুটের চেষ্টা করেছে।এ বিষয়ে হেলাল মিয়া বলেন, মকবুল হোসেনের জন্য হাওরে মাছ শিকার করতে পারি না। সে আমাদের মাছ ধরার ছাই ভেঙ্গে ফেলেছে। তাকে কে মেরেছে জানি না। এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচাজ দেব দুলাল ধর জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।#