দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার মগরাহাট পশ্চিমে তৃনমূল দলের মধ্যে যুবোর সাথে মাদারের ঠান্ডা লড়াই জমে উঠেছে
০২ ডিসেম্বর, ২০২১, 12:47 PM
০২ ডিসেম্বর, ২০২১, 12:47 PM
দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার মগরাহাট পশ্চিমে তৃনমূল দলের মধ্যে যুবোর সাথে মাদারের ঠান্ডা লড়াই জমে উঠেছে
দুই মোল্লার রাজনৈতিক যায়গা দখল নিয়ে ঠান্ডা লড়াইয়ে কে জিতবে তা লাখ টাকার প্রশ্ন উঠেছে প্রকৃত তৃনমূল দলের পুরানো কর্মীদের সাথে হালে বিভিন্ন যায়গায় থেকে ভিড়তে আসা কর্মীদের মধ্যে, কার জয় নিশ্চিত তা কেউ বলতে পারছেন না। একসময় ছাত্র রাজনীতিতে উঠে আসা তরুণ তুর্কি নেতা একদা পশ্চিম বাংলার সাবেক মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তরের মন্ত্রী ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মগরাহাট পশ্চিমের বিধায়ক জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লার সহচর ও ছায়া সাথী জনাব ইমরান মোল্লার সাথে চলছে ঠান্ডা লড়াই। একসময় এই ইমরান মোল্লার নেতৃত্বে, ২০১৬,ও, ২০২১,শে, বিধান সভা নির্বাচনে অক্লান্ত পরিশ্রম ও জীবনের বাজি রেখে বর্তমান বিধায়ক জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লা কে জেতাতে সাহায্য করে। কিন্তু তার পরিনামে এতটাই নিচের দিকে চলে আসবে তা ভাবতে পারেন নি মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের যুব সভাপতি জনাব ইমরান মোল্লা। সদ্য বিজেপি দল থেকে তৃনমূল দলে ভেড়া বিজেপি নেতা শ্রী জয়ন্ত চৌধুরী ও একদা বামফ্রন্ট পরে পি ডি এস হয়ে ভারতে জাতীয় কংগ্রেসের মগরাহাট পশ্চিমের ব্লক সভাপতি জনাব সানোয়ার মোকামী এবং তার দলবলকে সামনে রেখে দলীয় কাজ করে যাচ্ছেন দলের বিধায়ক জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। তাই নয় যুব তৃনমূল দলের সভাপতি জনাব ইমরান মোল্লাকে রাজনৈতিক ভাবে শেষ করার জন্য পদে পদে এগিয়ে চলেছে নাকি মগরাহাট পশ্চিমের বর্তমান বিধায়ক জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। তবে বিধায়কদের ঘনিষ্ঠ মহলের কাছ থেকে জানা যায় যে, দুর্নীতি ও তোলা বাজির জন্য দলের বদনাম করার জন্য তাকে সরিয়ে দিতে চাইছে দল। কিন্তু মগরাহাট পশ্চিমের আদি তৃনমূল দলের নেতা ও কর্মীদের দাবি যে যুব তৃনমূল দলের সভাপতি জনাব ইমরান মোল্লা কোন দিন দুর্নীতি করেন নি ও তোলা বাজি করেনি। বর্তমানে মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের নেতা ও বিধায়ক জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লা পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ও নাম কে সামনে রেখে তোলা বাজি ও দলের পদ দেওয়ার নাম করে টাকা পয়সা নিয়ে কাজ করছে। উদাহরণস্বরূপ বলেন, মগরাহাট পশ্চিমের দলের বেশি সদস্য থাকার কারণে ও বিজেপি থেকে আসা সদস্য কে টাকা পয়সার বিনিময়ে তৃনমূল দলের সদস্য কে সরিয়ে নিয়ে বিজেপি র সদস্য কে ইয়ারপুর অঞ্চলের প্রধান ও উপপ্রধান গঠন করেন। একই অভিযোগ করেন মগরাহাট পশ্চিমের সপ্তগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃনমূল দলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাদের দাবি দলের মেজরিটি সদস্য থাকার সত্ত্বেও নিরদল প্রার্থী কে প্রধান হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব দিয়েছেন বিধায়ক। এমনকি মগরাহাট পশ্চিমের উত্তর কুসুম অঞ্চল প্রধান জনাব কুতুবউদ্দিন লস্কর কে ফেলতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় বিধায়ক জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লা কে তার পিছনে পযাপ্ত তৃনমূল দলের সদস্য থাকতেও অন্য কে পয়সার বিনিময়ে প্রধান করতে গিয়ে পা পিছলে যায়। পুরাতন তৃনমূল দলের সদস্য ও নেতা এবং কর্মীদের দাবি তৃনমূল দলের জন্মলগ্ন থেকে তারা দলের হয়ে কাজ করে আসছেন। তিন তিন বার মগরাহাট পশ্চিম থেকে তৃনমূল দলের বিধায়ক নির্বাচিত করেন জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লা কে। আজ ওনি পুরানো দলের কর্মীদের ভূলে গিয়ে এবং বহু পুরানো কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে দেবার চক্রান্ত করছে বলে মনে করছেন। সম্প্রতি মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের যুব সভাপতি জনাব ইমরান মোল্লা কে মিথ্যা মামলায় এবং তাকে খুন করে দেওয়ার জন্য ও তাকে রাজনৈতিক ভাবে শেষ করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেন। তবে দলের পুরাতন নেতা কর্মীদের দাবি হল অবিলম্বে প্রদেশ তৃনমূল দলের নেতৃত্ব যেন মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের পুরাতন নেতা ও কর্মীদের কথা চিন্তা করেন। একই সাথে মগরাহাট পশ্চিমের তৃনমূল দলের বিধায়ক জনাব গিয়াসউদ্দিন মোল্লা র যে পরিবারতন্ত্র রাজ কায়েম করেছে তা বন্ধ করতে। নতুবা অদূর ভবিষ্যতে তৃনমূল দলের অবস্থান তলনীতে ঠেকাতে পারে। অবিলম্বে মগরাহাট পশ্চিমের দাপুটে নেতা ও দক্ষ দলের পরিচালক জনাব ইমরান মোল্লা ও সাবেক মগরাহাট পশ্চিমের সভাধিপতি শ্রী সব্যসাচী গায়েন এবং তৃনমূল দলের নেতা জনাব নুরুজ্জামান সেখ এবং জেলা পরিষদ হদস্যা শ্রীমতী সঙ্গীতা হালদার ও জনাব আকতার হোসেন হালদার কে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে তৃনমূল দলের হয়ে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেন।