গাইবান্ধা কারাগারে দুই গ্রুপের মারধরের ঘটনায় কারারক্ষীসহ ৪ আসামি আহত
২১ নভেম্বর, ২০২১, 2:05 PM
২১ নভেম্বর, ২০২১, 2:05 PM
গাইবান্ধা কারাগারে দুই গ্রুপের মারধরের ঘটনায় কারারক্ষীসহ ৪ আসামি আহত
গাইবান্ধা জেলা কারাগারে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে বন্দি দুই গ্রুপ আসামিদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুই কারারক্ষীসহ চারজন আসামি আহত হয়েছেন। পরে ঘন্টি (সাইরেন) বাজিয়ে কারারক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত তিন আসামিকে বদলি করে পাঠানো হয়েছে দিনাজপুর জেলা কারাগারে।
শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে কারাগারের ভিতরে এই মারামারি ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। আহত কারারক্ষীরা হলেন, খোকন (গোয়েন্দা) ও একরামুল হক (সহকারী) কারারক্ষী। আহত আসামি চারজনের মধ্যে তিনজনকে পাঠানো হয়েছে দিনাজপুর জেলা কারাগারে। অপর আসামিকে কারাগারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
দিনাজপুর কারাগারে পাঠানো অভিযুক্ত তিন আসামি হলেন, শাদ মাহমুদ সৈকত, কাঞ্চন ও জহুরুল ওরফে (ওসি)। এদেরমধ্যে জহুরুল ওরফে (ওসি) মাদক মামলার আসামি এবং সৈকত ও কাঞ্চন ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আশিকুর রকি হত্যা মামলার আসামি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জেল সুপার মো. নজরুল ইসলাম মুঠফোনে বলেন, ‘প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে কারাগারে দুই গ্রুপ আসামির মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরেই কারারক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। প্রভাব বিস্তারের অভিযোগে আসামি সৈকত, কাঞ্চন ও জহুরুল ওরফে ওসিকে বিকেলেই বদলি করে পাঠানো হয় দিনাজপুর কারাগারে। কারাগারে বিশৃঙ্খলা এড়াতে তাদেরকে গাইবান্ধা কারাগার থেকে দিনাজপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে’।
কারাগারে দুই গ্রুপরে মারামারির ঘটনার বিষয়টি জানতে কথা হয় জেলার মো. আমজাদ হোসেন ডনের সঙ্গে। তিনি মুঠফোনে বলেন, ‘বন্দি আসামি সৈকত ও কাঞ্চনসহ ৭-৮ জন মিলে কারাগারে প্রভাব বিস্তার করাসহ আসামিদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আসছিলো। প্রায়ই তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে বিচার চায় সাধারণ কারাবন্দিরা। এ নিয়ে তাদের উপর অনেক আসামিই ক্ষিপ্ত ছিলো। শনিবার দুপুরে সৈকত ও কাঞ্চনসহ কয়েকজনের সাথে কথাকাটাকাটির জেরে অন্য আসামিদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত হয়নি বলে দাবি করে ঘটনাটি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগতের কথা জানান তিনি।