গরু পাচার কান্ডে অবশেষে সি বি আই দপ্তরে হাজিরা দিতে চলেছেন তৃনমূল দলের নেতা অনুব্রত মন্ডল
১৯ মে, ২০২২, 4:52 PM
১৯ মে, ২০২২, 4:52 PM
গরু পাচার কান্ডে অবশেষে সি বি আই দপ্তরে হাজিরা দিতে চলেছেন তৃনমূল দলের নেতা অনুব্রত মন্ডল
দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম বাংলার গরু পাচার কান্ডে সি বি আই এর ডাকা তলব পেয়ে গরহাজিরা দিয়ে আসছিলেন পশ্চিম বাংলার বীরভূম জেলার তৃনমূল দলের সভাপতি শ্রী অনুব্রত মন্ডল ওরফে কেস্ট। গরু পাচার কান্ডের দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হন বীরভূম জেলার সভাপতি। কিন্তু সি বি আই এর তলব এড়াতে তিনি বার বার নানা অছিলায় সি বি আই এর ডাকাহাজিরা থেকে বাচতে অসুস্থ হয়ে কলকাতার এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে সি বি আই সাথে বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের চোর পুলিশের খেলায় তিনি নিজে থেকে হাজিরা দিতে আজ কলকাতার সি বি আই এর সদর দপ্তর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে আসছেন। এর আগে কলকাতায় এসে সি বি আই এর হাজিরা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তিনি কলকাতার এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি হন। এই ঘটনার পর তৃনমূল দলের অভ্যন্তরে অনুব্রত মন্ডলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তৃনমূল দলের নেতৃত্ব। তাই তিনি আর কালবিলম্ব না করে আজ কলকাতার সি বি আই এর দপ্তরে হাজিরা দিতে আসছেন। অন্যদিকে শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগে পশ্চিম বাংলার মন্ত্রী শ্রী পরেশ অধিকারীকে সি বি আই এর দপ্তরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শ্রী অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গেল বেঞ্চ। আজ সকাল ১০,টার, মধ্যে তাকে হাজিরা দিতে হবে সি বি আই এর দপ্তরে। সম্প্রতি পশ্চিম বাংলার সি এস এস পরিক্ষার মাধ্যমে যে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে তার ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে তা দিনের পর দিন প্রকাশ পাচ্ছে। এই ঘটনা ঘটেছে পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী কে বেআইনি ভাবে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে কৃতকার্য ছাত্র ও ছাত্রীদের বাদ দিয়ে। এই ঘটনার পর কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার তদন্ত করে দেখা যায় যে পশ্চিম বাংলার শিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে নাম সামনে আসে। এই ঘটনার পর সি বি আই কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশ মেনে তাকে তলব করে আজ পরেশ অধিকারীকে সি বি আই এর দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে। তবে তাকে পশ্চিম বাংলার মন্ত্রী সভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন পশ্চিম বাংলার রাজ্যপাল শ্রী জগদীশ ধনকড় এবং পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত নেন নি সরকারি ভাবে। শেষ পর্যন্ত কি হতে চলেছে তার জন্য সকলকেই অপেক্ষা করতে হবে।