কোম্পানীগঞ্জে অধ্যক্ষ অপসারণের দাবিতে শিক্ষক স্টাফ কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত
আনোয়ার সুমন, কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট প্রতিনিধিঃ
২৮ আগস্ট, ২০২২, 7:38 PM
আনোয়ার সুমন, কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট প্রতিনিধিঃ
২৮ আগস্ট, ২০২২, 7:38 PM
কোম্পানীগঞ্জে অধ্যক্ষ অপসারণের দাবিতে শিক্ষক স্টাফ কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে অধ্যক্ষ অপসারণের দাবিতে শিক্ষক স্টাফ কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত এবং সর্বসম্মতভাবে নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত।
আজ (২৮ শে আগস্ট) রবিবার সকাল ১০ টায় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী এম সাইফুর রহমান কলেজের শিক্ষক মিলনায়তনে কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুর্শেদ আলমের সভাপতিত্বে এবং অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রশীদের সঞ্চালনায় কলেজের অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে শিক্ষক স্টাফ কাউন্সিলের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অধ্যক্ষ কর্তৃক গত বুধবার ২৪ শে আগস্ট সমাজকর্ম বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক ইকবাল হোসেনের উপর শারীরিক নির্যাতনের নিন্দা ও প্রস্তাব জানানো হয় ও কলেজের সকল শিক্ষকগণ সর্বসম্মতিক্রমে উক্ত ঘটনার বিচার না হওয়া পযর্ন্ত ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং দুর্নীতিতে নিমজ্জিত অধ্যক্ষের অপসারণের দাবি করা হয়।
সভাশেষে ছাত্রদের সাথে মতবিনিময় করেন কলেজের সকল শিক্ষকবৃন্দ।
এসময় বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুর্শেদ আলম বলেন বতর্মানে তোমাদের ক্লাসে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। তবে আমাদের দাবী আদায় হলে প্রয়োজনে সন্ধা পযর্ন্ত তোমাদের ক্লাস নিব।
অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মোঃ আব্দুর রশীদ বলেন আমরা কলেজে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই,ছাত্রদের সঠিকভাবে পাঠদান এবং কলেজের উন্নয়নমুলক বিষয় নিয়ে আমরা অধ্যক্ষের সাথে কথা বললে তিনি আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান। তোমরা সবাই অবগত (২৪ শে আগস্ট) বুধবারে ইকবাল হোসেন স্যার অধ্যক্ষের সাথে কলেজের উন্নয়ন এবং নতুন ক্লাস রুটিন নিয়ে কথা বললে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক ইকবাল হোসেন স্যার কে মারপিট করেন। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে ওসমানী মেডিকেল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বতর্মানে অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে রয়েছেন।
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ ফান্ড রয়েছে। তোমরা যারা দূর থেকে কলেজে পড়ালেখা করতে এসো তোমাদের জন্য আমরা একটা বাস চাই। কিন্তু এর ব্যবস্থা হচ্ছে না অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের এর কারণে। কারণ তিনি নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত।
কলেজের বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী বলেন অধ্যক্ষের অপসারণ না হলে আমরা ক্লাস করব না। তিনি আমাদের সাথে যে ব্যবহার করেন তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। সুতরাং আমাদের দাবী একটাই, অধ্যক্ষ নজরুলের অপসারণ চাই। এছাড়াও আমাদের কে বহিরাগত কিছু লোক হেনস্থা করেছে।
অন্যদিকে একাংশের দাবী এই ঘটনা মিথ্যা। তাই আমরা ক্লাস করতে চাই।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিপ্রেশ রঞ্জন রায়, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক শেখ মোঃ জাকির হোসেন, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক জাহাঙ্গীর সেলিম, জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আশরাফুল ইসলাম, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সব্যসাচী তালুকদার, জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক শামীম আরা বেগম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক মোঃ আব্দুর রাশীদ, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, আইসিটি বিভাগের প্রভাষক কমলেশ বিশ্বাস, ব্যবস্থাপনা প্রভাষক উজ্জল চৌধুরি,সহকারী লাইব্রেরীয়ান তাহমিনা আক্তার প্রমুখ।