কম বৃষ্টিতে আগাম শীতকালীন সবজী চাষে সফল চাষিরা!
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 4:28 PM
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, 4:28 PM
কম বৃষ্টিতে আগাম শীতকালীন সবজী চাষে সফল চাষিরা!
রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় চলতি মুওসুমে বৃষ্টি কম হওয়ায় শ্রাবণ মাসের শুরু থেকে আগাম শীতকালীন বিভিন্ন সবজি চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন অনেক কৃষক। ভালো ফলনের পাশাপাশি চলতি মুওসুমে দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা। তবে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চলতি মৌসুমে শীত কালীন সবজি চাষে কিছুটা বাড়তি সফলতা পেয়েছে। কারন ভারি বর্ষণে সবজি চারা নষ্ট হয়।
এক্ষেত্রে কৃষকরা জানান, সেচ খরচ কিছুটা বেড়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় শীতকালীন শাক-সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। আগাম শীতকালীন সকল সবজি বাজারে দাম আশানুরুপ পাওয়ায় দারুন খুশি সবজি চাষিগণ। জেলার উৎপাদিত শাক-সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিদিন সরবরাহ করে থাকেন পাইকারি সবজি পাইকাররা। সবজি উৎপাদিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় সবজি চাষিরা ভিষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন ।
প্রতিদিন ভোর হতে-সন্ধ্যা অবধি সবজি ক্ষেতে নির্লস পরিশ্রম করে সবজি যত্ন ও বাজারজাত করার জন্য ফসল সংগ্রহ করছেন। সংগ্রহকৃত সবজি প্রক্রিয়া শেষে সেগুলো ভ্যান ও মিনি পিকআপ যোগে বাজারে নেওয়া হচ্ছে। শীতের আগাম সবজির এ মৌসুমে লাউ, বেগুন, করলা, শিম, মুলা, লাল শাক, পালং শাক, ফুলকপি, বাঁধাকপি, শাক, ধনে ও মুলা শাকসহ বিভিন্ন শাক-সবজির চাষ করা হয়েছে। মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটের পাইকার এরশাদ আলী বলেন, কাঁচা বাজারে কৃষকদের উৎপাদিত সবজি বেশি বিক্রি হচ্ছে।
পবা উপজেলার বড়গাছী রামচন্দ্রপুর, নওহাটা, হুজরীপাড়া, দর্শনপাড়া, দামকুড়া, পারিলা, কাটাখালী, হরিয়ান এলাকাসহ বিভিন্ন গ্রামে সবচেয়ে বেবি সবজি উৎপাদন করেন কৃষকরা। তাদের উৎপাদিত ফসল কাটালী বাজার, নওহাটা, রাজশাহীর বিভিন্ন আড়তে বিক্রি করে থাকে। এবং জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা এ হাট থেকে পাইকারি দরে সবজি ক্রয় করে দেশের বিভিন্ন শহরে সরবরাহ করে থাকে। ঘাসিগ্রম গ্ৰামের কৃষক আলমাস বলেন, ফসলের খেতজুড়ে এখন শীতকালীন শাক-সবজির সমারোহ। বাজারে দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষকেরা।
তাই দিন দিন বেকার যুবকেরা সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কেশরহাট পৌরসভার মেয়র মোঃ শহিদুজ্জামান শহিদ জানান, জেলার মধ্যে মোহনপুর উপজেলার মাটি উর্বর। ফলে কৃষি নির্ভরশীল আমাদের এলাকার কয়েকটি গ্রামে ব্যপকহারে বিভিন্ন শাক উৎপাদন করে অনেক বেকার যুবকরা আত্ননির্ভশীল হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, অল্প সময়ে সবজি চাষে লাভের সুযোগ থাকায় চাকরির পেছনে না ছুটে অনেক শিক্ষিত বেকার ছেলেরা সবজি চাষ করে সাবলম্বি হওয়ার পরারমর্শ প্রদান করেন।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোছা. উম্মে ছালমা বলছেন, লাভজনক হওয়ায় সবজি চাষে ঝুঁকছেন রাজশাহীর অনেক চাষিরা। অনুকূল আবহাওয়ায় ফলনও মিলেছে আশানুরূপ। বাজারে মিলছে ভালো দাম। এসব কারণেই সবজি উৎপাদন বাড়ছে রাজশাহী জুড়ে। তিনি আরো জানান, ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ হতে কৃষকদের পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত রযেছে।