এবপিসির ইফতার পার্টিতে কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং কমিউনিটি ভিত্তিক গণমাধ্যমগুলোই তুলে ধরে অভিবাসীদের মুল সমস্যাগুলো
১৬ এপ্রিল, ২০২২, 9:17 PM
১৬ এপ্রিল, ২০২২, 9:17 PM
এবপিসির ইফতার পার্টিতে কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং কমিউনিটি ভিত্তিক গণমাধ্যমগুলোই তুলে ধরে অভিবাসীদের মুল সমস্যাগুলো
মার্কিন কংগ্রেসে প্রভাবশালী সদস্য কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং গত ১১এপ্রিল,সোমবার নিউইয়র্কের একটি রেস্টুরেন্ট আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, করোনা রিলিফ ফান্ডের হিস্যা বাংলাদেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরাও যথাযথভাবে পাবার ক্ষেত্রে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছেন বাংলা ভাষার গণমাধ্যমগুলো। তার ফলে আমার কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট (নিউইয়র্ক-৬) এর সকল রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী, গ্রোসারি ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণের মঞ্জুরি ড্র করেছেন। এজন্যে কৃতিত্ব দাবি করতে পারে কমিউনিটিভিত্তিক ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা। পাশাপাশি অভিবাসী সমাজের অধিকার আদায়ে নিবেদিত বাংলাদেশীসহ কম্যুনিটিভিত্তিক মিডিয়াগুলোর কৃতিত্ব অপরিসীম।
অথচ এখন পর্যন্ত সিটি, স্টেট কিংবা ফেডারেল প্রদত্ত বিজ্ঞাপণ ঠিকমত পাচ্ছে না। বাংলাদেশি মিডিয়াগুলোকে সামাণ্যই বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে এখাতে।
প্রথম এশিয়ান আমেরিকান নারী কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং আরো বলেন, বলতে দ্বিধা নেই যে, এখানে যে সব সাংবাদিক এসেছেন, তারা কিন্তু আমাদের মত বাসায় ফিরবেন না। সরাসরি অফিসে গিয়ে এই অনুষ্ঠানের সংবাদটি তৈরী করবেন নিজ নিজ গণমাধ্যমের জন্য।
এজন্যে আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদেরকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। গ্রেস মেং বাস্তবতার আলোকে কঠোর পরিশ্রমী সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আরো বলেন, সামনের নির্বাচনে যারা কংগ্রেস অথবা স্টেট কিংবা সিটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান বা ইতিমধ্যেই অবতীর্ণ হয়েছেন, তাদের সংবাদটিও সারা আমেরিকায় কমিউনিটির মধ্যে প্রচার করতে তারাই একমাত্র অবলম্বন।
অভিবাসী সমাজের সুখ-দুঃখের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে থাকা এই জনপ্রতিনিধি আরো বলেন, আমরা সকলেই জানি যে, অনেক সময়ই মূলধারার গণমাধ্যমে খেঁটে খাওয়া মানুষদের প্রকৃত তথ্য উপস্থাপিত হয় না। সে দায়িত্বটি পালন করেন কম্যুনিটিভিত্তিক সাংবাদিকরা।
রামাদান মুবারক বলে শুরু করা বক্তব্য শেষ করেন সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে।
নিউইয়র্কের ঊডসাইডের গুলশান প্যালেসে ‘আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব’ (এবিপিসি)’র এ মাহফিলে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলাম সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কংগ্রেসওম্যানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদারকল্পে তার নিরন্তর প্রয়াসের জন্যে।
মূলধারার রাজনীতিক কম্যুনিটির লিডার ও ডেমক্র্যাট মোর্শেদ আলম, কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট লিডার এ্যাট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি ডা. ওয়াদূদ ভূইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। খবর বাপসনিউজ।
সংক্ষিপ্ত এ আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবিপিসির সভাপতি রাশেদ আহমেদ এবং সঞ্চালনা করেন এবিপিসির সাবেক সভাপতি সাংবাদিক লাবলু আনসার ও যুগ্ম সম্পাদক শাহ ফারুক। বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপবেশন করেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূতের বিশেষ প্রতিনিধি ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) নূরএলাহি মিনা, ডেপুটি কন্সাল জেনারেল এস এম নাজমুল হাসান এবং ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা,সাংবাদিক,লেখক,কবি,সাহিত্যিক,আওয়ামী লীগ,বিএনপি,জাতীয় পার্টিসহ কমিউনিটির নেতৃবৃনধ।
ইফতার মাহফিলে দোয়া-মুনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি আনসারুল করিম আজহারী।
ইফতারের পর মাগরিবের নামাজ শেষে সকলে নৈশ ভোজ গ্রহণ করেন সম্প্রীতির এক অনন্য বন্ধনে।